হেড ফোন: হতে পারে দূর্ঘটনা প্রদায়ক


তথ্য প্রযুক্তির আমাদের জন্য সহজলভ্য করেছে  অনেক কিছু। সুলভ করেছে বিনোদন ব্যবস্থ্যাও। কলের গান, ফিতার অডিও, ফিতার ভিডিও, ডিক্স অডিও-ভিডিও পেরিয়ে ডিভিডিতে এসেও থামেনি প্রযুক্তির প্রচেষ্টা। মোবাইল ফোন সেটেও মোমোরী ব্যবহারের মাধ্যেমে আমরা কোন ধরনের ফিতা ও বহনঅযোগ্য বড়মাপের সহায়ক যন্ত্র ছাড়া উপভোগ
করে যাচ্ছি সব ধরনের বিনোদন। অধিকাংশ ক্ষেত্রে আমরা হেড ফোন ব্যবহারে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছি। চলার পথে, কাজের ফাকে, গাড়ী যাত্রায় এমনকি সবিকছুর পাশাপাশি পকেটে রাখা মোবাইল ফোন সেটের সাথে সংযুক্ত সচল হেডফোন তার আমাদের কানে লাগানো থাকে। আজকাল অনেকেই এইধরনের আচরণকে ফ্যাশন মনে করে থাকে। মনের উৎফুল্লতা বৃদ্ধিতে সহায়ক এবং ক্লান্তি প্রতিরোধক বলে অনেকের মনে হলেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে এই হেড ফোন হতে পারে দূর্ঘটনা প্রদায়ক। হতে পারে সব ধরনের কাজে অসম্পূর্ণতা, অস্বাভাবিকতা ও অসুবিধার কারণ। রাস্তা পারাপারে হেড ব্যবহৃত অবস্থায় গাড়ীর সতর্কীকরণ হর্ণ না শুনলে ঘটতে পারে জীবন নাশের মতো দূর্ঘটনা। গত শনিবার প্রথম আলোর এই ধরনের এই ধরনের একটি সংবাদ দৃষ্টিগোচর হয়। সংবাদে বর্ণিত অবস্থা এই রকমই ছিল যে, দশম শ্রেণী পড়ুয়া দুই বন্ধু রেল লাইনের উপর বসে কানে হেড ফেন লাগিয়ে গান শ্রবণে এমনই মগ্ন ছিল যে ট্রেন আগমনের সতর্ককতামূলক হরণ বারংবার বাজা স্বস্তেও ওদের কর্ণকুহরে পৌছাতে পারেনি। ফলে কয়েকশমুহুর্তেই টুকরো টুকরো হয়ে যায় দুটি আগামী। ঠিক একই রকম ভাবে অনেক কিছুই ঘটতে পারে।
Share on Google Plus

About Touhidul Islam

This is a short description in the author block about the author. You edit it by entering text in the "Biographical Info" field in the user admin panel.

0 comments:

Post a Comment