অতিরিক্ত ক্যালসিয়াম : কিডনীতে পাথর সৃজক

ক্যালসিয়ামের অভাবে হাড় সংক্রান্ত বহু রোগে আমরা আক্রান্ত হয়ে থাকি। এজন্য হাড় মজবুত রাখতে এবং হাড়ের অসুস্থতা প্রতিরোধ করতে আমাদের ক্যালসিয়া গ্রহণের ডাক্তারী পরামর্শ দেয়া হয়। অষ্টিও ম্যালেরিয়া, রিকেটস এবং অষ্টিও পোরেসিস সহ বিভিন্ন রোগ সৃষ্টি হয় ক্যালসিয়ামের অভাবে। তাই ক্যালসিয়াম গ্রহণের প্রয়েজনীয়তা দেখা দেয়। কিন্তু অতিরিক্ত ক্যালসিয়াম গ্রহণ কিডনীতে পাথর সৃষ্টি করতে পারে। ৭০% থেকে ৮০%
কিডনীর পাথরই ক্যালসিয়াম অক্সালেট। আর একবার কিডনীতে পাথর হলে বারবার হওয়ার আশাঙ্খা থেকে যায়। যদি কোন কারণে কিডনীতে একবার পাথর হয়ে যায় তাহলে খাবার ও ওষধ গ্রহণের ব্যাপারে চিকিৎসকের পরামর্শ  সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন। বিশেষ করে ক্যালসিয়াম ও অক্সালেটযুক্ত খাবার বিধি নিষেধ মেনে সতর্কতার সাথে গ্রহণ করা প্রয়োজন। প্রয়োজনের অতিরিক্ত ক্যালসিয়াম প্রসাবের মাধ্যমে বের হয়ে যায়।  এজন্য বেশী পরিমাণে পানি পান করা দরকার, যাতে অতিরিক্ত ক্যালসিয়াম অক্সালেট কিডনীর উপরে জমা না হয়ে প্রসাবের মাধ্যমে বের হয়ে যায়। অ্যাসডিক ইউরিনে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা বেশী থাকে। রাত্রে ঘুমানোর আগে ২ গ্লাস পানি পান করে ঘুমানো ভাল। মধ্য রাতে প্রসাব করার পর আবার ২ গ্লাস পানি পান করে ঘুমালে উত্তম, যাতে প্রসাবের মাধ্যমে অতিরিক্ত ক্যালসিয়াম বের হয়ে যায়। অক্সালেড এসিডযুক্ত খাবার যেমন- পালং শাক, টমেটো, আমলকী, শসা, ফুলকপি, মাশরুম, বেগুন, কার্বোনেটেজ পানীয় যেমন- কোক, চা, পানি ইত্যাদি পরিমিত পরিমাণে খাওয়া দরকার। তবে একেবারে না খাওয়ার জন্য বলা হচ্ছে না। মোদ্দা কথা যাদের কিডনীতে পাথর হওয়ার প্রবণতা আছে ওনাদের উচিত রক্ত ও প্রসাব পরীক্ষা করে ক্যালসিয়াম গ্রহণ করা।
Share on Google Plus

About Touhidul Islam

This is a short description in the author block about the author. You edit it by entering text in the "Biographical Info" field in the user admin panel.

0 comments:

Post a Comment