চোগলখোরী: অশান্তি সৃজক মারাত্মক অপরাধ


আমাদের মধ্যে অধিকাংশই পরষ্পরের কথা বলাবলি করে করাতে অভ্যস্ত। এমনকি অনেক সময় আমরা এটা পরিকল্পিত ভাবে করে থাকি। ঝগড়া বিবাদে নিজেদের অপচন্দের মানুষটিকে জড়িয়ে সমস্যার সম্মুখিন করার জন্য আমরা চোগলখোরীকে হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করে থাকি। অথচ আমাদের জানা উচিত চোগলখুরী করে সমাজে অশান্তি সৃষ্টি করা মারাত্মক অপরাধ। চোগলখোরী সম্পর্কে সুরা হুমাযাহ এর ১ নং আয়াতে বলা হয়েছে- (অর্থ) ধ্বংস এমন প্রতিটি লোকের জন্য যে মাসনা সামনি নিন্দা করে ও পেছনে নিন্দা করে। বোখারী ও মুসলিম শরীফের হাদীসে আছে-নবী করিম (স:) বলেছেন- চোখলখোর বেহেস্তে প্রবেশ করতে পারবে না। তাছাড়া বোখারী শরীফে আছে-হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (র:) হইতে বর্ণিত –তিনি বলেন একদিন নবী করিম (স:) দুটি কবরের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় বললেন, এই দুটি কবরের লোক গুণাহের কারণে আযাবের মধ্যে রয়েছে। তবে তাদের এই আযাব বড় কোন গুণাহের কারণে দেয়া হচ্ছে না। এদের মধ্যে একজন একজন চোগলখোরী করত। এবং অন্যজন পেশাব করে উত্তমরুপে পবিত্র হত না। তাহলে সহজে সবার কাছে বোধগম্য হয় যে আমরা যেসকল কাজকে অত্যন্ত সহজভাবে করে থাকি, হালকাভাবে নিয়ে থাকি তা মারাত্মক অপরাধ ও জগন্য গুনাহের কাজ। কিন্তু আমরাতো চাইলেই আল্লাহ্ আমাদের সফল করবেন , যদি আমরা সর্বোচ্চ সুচেষ্টা করি এই মারাত্মক অপরাধ পরিহারে। তাতে করা আমরা পাপ থেকে মুক্ত থাকার পাশাপাশি সামাজিক শান্তি প্রতিষ্ঠাতে ভুমিকা রাখতে পারি। আমরা যদি চোগলখোর না হই তবে সমাজে চোগলখোর থাকবে না। আসুন! আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্ঠায় গড়ে তুলি চোখলখোর বিহীন মসাজ।
Share on Google Plus

About Touhidul Islam

This is a short description in the author block about the author. You edit it by entering text in the "Biographical Info" field in the user admin panel.

0 comments:

Post a Comment